যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি : গত ২৮ জানুয়ারী গাইবান্ধায় গণ উন্নয়ণ কেন্দ্র পরিচালিত,দুর্গম চরাঞ্চলের নারী শিক্ষার লীলাভূমি, কুন্দের পাড়া গণ উন্নয়ণ একাডেমী পুড়িয়ে দেয়া হয়। এর প্রতিবাদ গত ৪ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৫ টায় জ্যাকসন হাইটস ডাইভারসিটি প্লাজায় নিউইর্য়কের গাইবান্ধাবাসী এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। প্রচন্ড ঠান্ডার জন্য অনুষ্ঠানটি সংক্ষিপ্ত করা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কলামিষ্ট ও যুক্তরাষ্ট্র উদীচীর সহ-সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস। মানববন্ধনের শুরুতেই বাংলাদেশ থেকে টেলিকন্ফারেন্সে বক্তব্য করেন গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রধান এম আব্দুস সালাম।
এরপর স্কুল পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ এবং এই নাশকতার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে অবিলম্বে দৃষ্টান-মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য করেন প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক শিতাংশু গুহ, সাপ্তাহিক বর্ণমালা ও ৭১ টিভি যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি মাহফুজুর রহমান, বিশিষ্ট রাজনীতিক ও সমাজসেবক জাকির হোসেন বাচ্চু, বাপ্স’র সম্পাদক হাকিকুল ইসলাম খোকন, উত্তরবঙ্গ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ আতোয়ারুল ইসলাম, আয়োজকদের পক্ষে দীলিপ মোদক। সমাবেশে প্রস্তাবনা পাঠ করেন মিষ্টি বর্মণ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সনজীবন কুমার।
গমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মোহাম্মদ আবুল কাশেম,ঠাকুরগাও জেলা সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল মামুন,সমাজসেবক লিয়াকত হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা জীবন শফিক, গাইবান্ধা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কমিশনার নাজমা শওকত, শওকত হোসেন, প্রতীমা সরকার,পপি ঘোষ,মেহেদী ইসলাম মিথুন, এম ডি মাহফুজুল ইসলাম তুহিন, ফাহমিদা লুনা তুহিন, শরিফ হোসেন, নিয়ন ইসলাম, সুমনা লিয়ন প্রমূখ।
বিদ্যালয়টি অগ্নিকান্ডে ভস্মিভুত হওয়ায়,ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা মানুষ না, অমানুষ। যারা এই অপরাধটি করেছে, তারা মানুষকে,সমাজকে অন্ধকারে রাখতে চায়।
সমাবেশে থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ করে,এই নাশকতার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে অবিলম্বে দৃষ্টান-মূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। সেই সাথে চরাঞ্চলে সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কুন্দেরপাড়া গণ উন্নয়ন একাডেমি বিদ্যালয়কে এমপিওভূক্ত করা এবং সরকারি আর্থিক সহায়তায় জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণসহ আসবাবপত্র, লাইব্রেরীর, বই-পুস্তক, ও শিক্ষা উপকরণের সরবরাহ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি করা হয। আর যে সমস্থ- শিক্ষার্থীর সনদপত্র পুড়ে গেছে, তাদের সনদপত্রের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানানো হয়।|
http://www.bhorerkagoj.net/online/2017/02/06/324729.php
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস