Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ইউনিয়ন পরিষদের সাথে জরুরী যোগাযোগঃ- মোঃ মতিয়ার রহমান , চেয়ারম্যান, মোবাইল- ০১৭১৮১৪৮৮৮৫ অথব ০১৭১১৪১৫৭১৭ মোঃ মামুন মন্ডল, ইউপি সচিব, মোবাইল- ০১৬৫০০৬৯৩৫৩ অথবা ০১৭১৯১৬১৮৯৭ মোঃ মাহাবুবুর রহমান, দেশসেরা উদ্যোক্তা, মোবাইল- ০১৭৪৬২১০৫২৩ অথবা ০১৯৭৬২১০৫২৩ ধন্যবাদ... 



শিরোনাম
পাউবোর কঠিন শিলা নিয়ে বিপাকে গাইবান্ধার সদরের কামারজানি ইউনিয়নের কৃষক
বিস্তারিত

পানিউন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বিপুল পরিমাণ মজুদকৃত ‘হার্ড রক’ (কঠিন শিলা) নিয়েবিপাকে পড়েছেন গাইবান্ধার সদর উপজেলার কামারজানি বন্দরের পার্শ্ববর্তীগোঘাট এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক।
প্রায় ৮ বছর ধরে ওইসব কৃষকদের ১০বিঘা জমির ওপর এসব পাথর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে, তারা না পারছেনআবাদ করতে, না পাচ্ছেন কোনো রূপ ক্ষতিপূরণ।
ভুক্তভোগী কৃষক ওস্থানীয়রা জানান,  ২০০৪ সালে কামারজানি বন্দর ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন থেকেরক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর ডান তীর সিসি ব্লক ও হার্ড রক দিয়েসংরক্ষণে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেয়। প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়েওই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ‘ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেটলিমিটেড’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সে সময়ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সিসি ব্লক নির্মাণেরপাশাপাশি বিপুল পরিমাণ হার্ড রক কামারজানিতে আমদানি করে নিয়ে আসে। ওই হার্ডরক সংরক্ষণের জন্য পার্শ্ববর্তী গোঘাট এলাকায় ১৪ জন কৃষকের সঙ্গে ভাড়ারভিত্তিতে চুক্তি করে তাদের জমি ব্যবহারের জন্য।
প্রতিষ্ঠানটি জমিরক্ষতিপূরণ বাবদ সংশ্লিষ্ট কৃষকদের বছরভিত্তিক ভাড়ার টাকা পরিশোধের অঙ্গীকারকরে। ২০০৭ সালে তাদের ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাড়তি প্রায় সাড়ে ৩ হাজারকিউবিক মিটার (প্রায় সোয়া লাখ সিএফটি) পাথর আটকা পড়ে। ঠিকাদারিপ্রতিষ্ঠানটি উদ্বৃত্ত পাথরের দাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে আদায় করেপ্রকল্প এলাকা থেকে তাদের জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়। এ অবস্থায় বেকায়দায় পড়েযায় সংশ্লিষ্ট কৃষকরা।
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড জমির মালিকদেরকোনো ভাড়া দিতে রাজি নয়। ফলে, কৃষকরা এখন কি করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না।ইতোমধ্যে প্রায় ৮ বছর পেরিয়ে গেছে। কৃষকরা পাথরগুলো নিয়ে এখন বিপাকেপড়েছেন।
কৃষক ইউনুস আলী বাংলানিউজকে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিপাথর রাখার জন্য বছরে প্রতি শতক জমি বাবদ ৫০০ টাকা হিসেবে ভাড়া দেওয়ারচুক্তি করেছিল। প্রথমে টাকা পরিশোধ করা হলেও শেষের দিকে ঠিকাদারিপ্রতিষ্ঠানটি টাকা পরিশোধে নানা টালবাহানা শুরু করে। যে কারণে কৃষকরা ভাড়ারটাকা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডেরনির্বাহী প্রকৌশল রেজাউল মোস্তফা আশাফুদৌলা বাংলানিউজকে জানান, পাথরগুলোরমূল্য প্রায় সোয়া কোটি টাকা। এগুলো কামারজানি রক্ষা প্রকল্পে ব্যবহার করারআর প্রয়োজন নেই। তবে, অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ফুলছড়িউপজেলার রতনপুর এলাকায় যমুনার ভাঙন ঠেকানোর কাজে এগুলো ব্যবহার করা যায়।
সেজন্যউর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গত বছর ৫৬ লাখ টাকা পরিবহন খরচ বাবদ চাওয়াহয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় পাথরগুলোওই অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছকমলহোসেন বাংলানিউজকে জানান, পাথরগুলো বর্তমানে অবৈধভাবে কৃষকদের জমিতে ফেলেরাখা হয়েছে। এতে অসহায় ওই কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন।

ছবি
ডাউনলোড

গুগোল লোকেশন