Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ইউনিয়ন পরিষদের সাথে জরুরী যোগাযোগঃ- মোঃ মতিয়ার রহমান , চেয়ারম্যান, মোবাইল- ০১৭১৮১৪৮৮৮৫ অথব ০১৭১১৪১৫৭১৭ মোঃ মামুন মন্ডল, ইউপি সচিব, মোবাইল- ০১৬৫০০৬৯৩৫৩ অথবা ০১৭১৯১৬১৮৯৭ মোঃ মাহাবুবুর রহমান, দেশসেরা উদ্যোক্তা, মোবাইল- ০১৭৪৬২১০৫২৩ অথবা ০১৯৭৬২১০৫২৩ ধন্যবাদ... 



শিরোনাম
গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
বিস্তারিত

গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির কারণে ঘাঘট-করতোয়া, তিস্তা-যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীবেষ্টিত সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে প্লাবিত হওয়া এসব গ্রামের অনেকের বসতবাড়ির লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সেইসঙ্গে শতশত একর ফসলি জমি, পাট, পটল, কাঁচামরিচ ও শাক-সবজির ক্ষেতসহ সদ্য রোপণকৃত বীজতলা তলিয়ে গেছে।

এ ছাড়া পানিবন্দি এসব গ্রামের শতশত পরিবারের লোকজন বসতবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, উঁচু মাচা পেতে বসবাস করছেন। বন্যা কবলিত এসব এলাকার অধিকাংশ কাঁচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় লোকজন এখন নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় চড়ে যাতায়াত করছেন।

বর্তমানে পানিবন্দি এসব এলাকার নারী-পুরুষ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়ে অসহায় ভাবে দিনাতিপাত করছেন। বিশেষ করে তারা গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়া এলাকাগুলো হলো— সদর উপজেলার কামারজানি, মালিবাড়ি, লক্ষ্মীপুর, কুপতলা, গিদারী ও কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম। প্লাবিত হয়েছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর ও দক্ষিণ শ্রীপুর, কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া, হরিপুর ইউনিয়নের হাজারির হাট, চড়িতাবাড়ি, বোছাগাড়ি, হরিপুর খেয়াঘাট ও বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর, বেলকা নবাবগঞ্জ, কাপাসিয়া, চণ্ডিপুর ও তারাপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম।

এ ছাড়া সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, মদনের পাড়া, আমদির পাড়া, কাঠুয়া, গোবিন্দপুর, জটিরপাড়া, থৈকরের পাড়া, চিনিরপটল, পালপাড়া, চকপাড়া, পবনতাইর, কুণ্ডপাড়া, চানপাড়া, গোবিন্ধি, বাঁশহাটা ও মিয়াপাড়া গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

অপরদিকে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের কাউয়াবাঁধা, পশ্চিম নিশ্চিন্তপুর, চন্দনস্বর, পশ্চিম খাটিয়ামারী, উত্তর খাটিয়ামারী, পূর্ব খাটিয়ামারী, এরেণ্ডাবাড়ী ইউনিয়নের তিনথোপা, পাগলার চর, বুলবুলি, দক্ষিণ হরিচণ্ডি, উত্তর হরিচণ্ডি, ঘাটুয়া, দক্ষিণ সন্যাসী, আনন্দবাড়ী, পশ্চিম ডাকাতির চর, আলগার চর, পশ্চিম জিগাবাড়ী, ধলি পাটাধোয়া, গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

হরিপুর ইউনিয়নের হাজারির হাটের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘হঠাৎ করে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার পানি বসতবাড়িতে চলে আসে। গত তিন দিনে তার বসতভিটে তলিয়ে গেছে। এখন খাট, চৌকি ও উঁচু জায়গায় পরিবারের লোকজন নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে’।

একই ইউনিয়নের চড়িতাবাড়ি গ্রামের আয়নাল হক দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘গত বছরের বন্যায় বসতভিটে তলিয়ে যায়। তখন খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হয়েছে। এবার আগাম বন্যার কারণে তার বসতবাড়িতে পানি ছুঁই ছুঁই করছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে দুই-তিন দিনের মধ্যে পরিবার নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে হবে’।

ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের কাউয়াবাঁধা গ্রামের আজাদুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে বলেন. ‘যমুনার পানি বৃদ্ধির কারণে চরাঞ্চলে পানি থৈ থৈ করছে। পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের বেশকিছু গ্রামের বসতভিটে ও বিভিন্ন ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি না কমলে চরাঞ্চলের কৃষকদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে’।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আ ক ম রুহুল আমীন দ্য রিপোর্টকে জানান, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। শাক-সবজি, পটল, মরিচ ও বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার কৃষকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল আউয়াল দ্য রিপোর্টকে জানান, কয়েকদিনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও থেমে থেকে বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সোমবার সকাল পর্যন্ত সব কটি নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/এইচ/জুলাই ১১, ২০১৬)
- See more at: http://bm.thereport24.com/article/161935/index.html…

ছবি
ডাউনলোড

গুগোল লোকেশন