![]() |
গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের কড়াইবাড়ী ও রায়দাশবাড়ী চরে কোনো বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সহস্রাধিক শিশু।
সরকারি, বেসরকারি কোনো সংগঠনই চর দুটির শিশুদের পড়ালেখার ব্যাপারে উদ্যোগ না নেওয়ায় এ অঞ্চলে ক্রমেই বাড়ছে শিশুশ্রম। গরু-ছাগল চরানো, মাছধরা, নৌকার মাঝি, জ্বালানি সংগ্রহ, ক্ষেত-খামারসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত করা হচ্ছে শিশুদের।
গাইবান্ধা শহর থেকে বালাসীঘাট প্রায় ৮ কিলোমিটার। বালাসীঘাট থেকে নৌ-পথে আরও প্রায় ৪০ কিলোমটিার পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় কড়াইবাড়ির চর। সেখান থেকে আরও ৫ কিলোমিটার দূরে রায়দাশ বাড়ী চর।
চর দু’টিতে প্রায় ৫ হাজার মানুষের বসবাস। এদের সিংহভাগই শ্রমজীবী। তাদের প্রত্যাশা, সন্তাদের অন্তত প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত লেখাপড়া করানোর। কিন্তু কোনো স্কুল না থাকায় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ দু’টি চরের শিশুরা।
কড়াইবাড়ী চরের গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমগো ম্যালা আশা আছিলো পোলাডারে লেহাপড়া শেখামু। অক্ষর না চিনলে তো ব্যবসাও করব্যার পারব না’। কিন্তু মনোয়ারা বেগমের সে আশা পূরণের কোনো সুযোগ নেই।
শিশু কিশোর মেলা গাইবান্ধা জেলা শাখার সংগঠক নিলুফার ইয়াসমীন শিল্পী বাংলানিউজকে বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। তার পরও শিক্ষা এখন বাজারের পণ্যের মতো বেচাকেনা হয়। টাকা যার, শিক্ষা তার- এই নীতিতে আর কত দিন’?
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ঘোষণা দিয়েছে প্রতি ২০০ পরিবারের জন্য ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় দেওয়া হবে। কিন্তু ওই দুই চরের ১ হাজারেরও বেশি শিশু বিদ্যালয়ের অভাবে পড়াশুনা করতে পারছে না’।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোনালী সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ‘দু’টি চরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি শিগগির চর দু’টিতে বিদ্যালয় চালু করা সম্ভব হবে’।
মার্চ ১৬, ২০১২
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস