আগামী ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ তারিখে মহান বিজয় দিবসের প্রাক্কালে গাইবান্ধা জেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করার লক্ষ্যে আজ (০৫ অক্টোবর ২০১৬) সকাল ১০:০০টায় সমগ্র গাইবান্ধা জেলায় পালিত হলো বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে একযোগে মানববন্ধন, শপথ পাঠ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি।
সকাল ১০:০০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, গাইবান্ধার সামনের রাস্তাসহ পৌরসভা, শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চত্বর, সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় চত্বর, উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সকল ইউনিয়ন পরিষদসহ মোট অন্তত ১৩৯৪টি জায়গায় ১৪২২০ জন স্বেচ্ছাসেবীসহ মোট অন্তত ৪০৮৯০০ (চার লক্ষ আট হাজার নয় শত) জন লোকের এক জনজোয়ার রাস্তায় নেমে আসেন বাল্যবিয়েকে রুখে দেয়ার জন্য। এ জোয়ার যেন বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ার। সংযু্ক্ত ছবিসমূহ বলে দিচ্ছে যে গাইবান্ধার মতো নদী ও চর বিধৌত অপেক্ষাকৃত কম নাগরিক সুবিধাপ্রাপ্ত সাধারণ মানুষগুলো বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে কতটা সচেতন হতে সক্ষম হয়েছে। গাইবান্ধার জনগণ- প্রশাসন বান্ধব জনগণ। জেলা প্রশাসনের আহবানে মাত্র দুই দিন সময়ের ব্যবধানে এতো মানুষের সাড়া পাওয়া যাবে, তা ছিলো আমাদের কল্পনাতীত।
আজকের আয়োজন আমাদের আত্মবিশ্বাসকে আরও কয়েকগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। এই আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে আমরা আগামী ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ তারিখে গাইবান্ধা জেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করতে পারব- এই দৃঢ় প্রত্যয় আমরা আবারও ব্যক্ত করতে চাই।
আজকে এই সফল আয়োজনে সর্বপ্রথম গাইবান্ধার সর্বস্তরের লাখো নাগরিককে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, একই সাথে সকল সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, সকল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবদিকবৃন্দ, ও সর্বস্তরের সুধীজনকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের এই আয়োজনের ব্যাপক প্রচার করে ও আজ আমাদের মূল আয়োজনের যে সকল রুরাল সিটিজেন জার্নালিস্টগণ অক্লান্ত পরিশ্রম করে তরুণ্যের জয়ের স্বাক্ষর রেখেছেন তাদেরকেও জেলা প্রশাসন, গাইবান্ধার পক্ষ থকে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক আন্দোলন চলবে। বাল্যবিয়ে সহ সমজাতীয় সকল সামাজিক অসঙ্গতিকে রুখে দিতে আমাদের কর্মসূচিতে আপনাদের সকলের সমানভাবে সাড়া ও সহযোগিতা পাবো এই প্রত্যাশা করছি।
সকলকে আবারও অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
জনসেবায় জেলা প্রশাসন!!!!
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস