শিরোনাম
বন্যায় গাইবান্ধায় ৮৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী
বিস্তারিত
ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। জেলার চার উপজেলায় প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনাযাপন করছে। ৫৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে পাঠদান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ১৮ হাজার তিন হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘাঘট নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ১১ সেন্টিমিটার এবং করতোয়ার পানি ৪৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে।
এদিকে রংপুর-সুন্দরগঞ্জ সড়কের বামনডাঙ্গার ঘাঘট নদীর স্লুইস গেটটি এখন হুমকির মুখে। যে কোন মুহূর্তে ভেঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে সুন্দরগঞ্জের সর্বানন্দ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় বাঁধটি এখন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম আমিরুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয় চত্বর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফুলছড়ি উপজেলার কাইয়ার হাট, সর্দারের চর, চর খোলাবাড়ি, চর কৃষ্ণমনি, রতনপুর, গৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ জেলায় ৫৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৩৯টি গ্রামের প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। এ পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই মিল্টন জানান, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ১২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় তিন হাজার বন্যা কবলিত মানুষ গবাদি পশুসহ এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
সূত্র- http://dtbangla.com/%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A7%AE%E0%A7%AB-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C/