বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ভিজিটিং কার্ড
জেলা প্রশাসন, গাইবান্ধার উদ্যোগে আগামী ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ মহান বিজয় দিবসের প্রাক্কালে এ জেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে প্রতিনিয়ত বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নতুন নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।
গত ০৫ অক্টোবর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ তারিখে এ জেলার ০৪ লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণে একযোগে বাল্যবিয়ে বিরোধী শপথ পাঠ, মানববন্ধব ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। বাল্যবিয়ে পতিরোধে উক্ত কর্মসূচিকে কেউ কেউ সারা বাংলাদেশে একক সর্ববৃহৎ কর্মসূচি বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বর্তমানে গাইবান্ধা জেলার সকল উপজেলায় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন ভিত্তিক বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সভা-সমাবেশ করা হচ্ছে এবং একে একে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে।
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন, গাইবান্ধার চলমান এই কর্মযজ্ঞে অত্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী নতুন মাত্রা যোগ করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, গাইবান্ধার সদরের একটি ছোট্ট পদক্ষেপে। সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মো: আব্দুস সামাদ মহোদয়ের পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, গাইবান্ধা সদর জনাব মো: আশরাফুল মোমিন খান বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে একটি ভিজিটিং কার্ড তৈরি করেছেন।
ভিজিটিং কার্ডে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সরাসরি হটলাইন নম্বর (১০৯২১) সহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল নম্বরসহ দরকারি যোগাযোগ মাধ্যমগুলো উল্লেখ করেছেন।
সর্ব সাধারণের মাঝে এ কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে এবং তাতে করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের যে কোনো লোক বাল্যবিয়ের ব্যাপারে সহজেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে তথ্য প্রদান করতে পারছেন।
ইতোমধ্যে এ উদ্যোগ সর্বমহলে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। একই সাথে সকল উপজেলায় সমজাতীয় ভিজিটিং কার্ড তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
গতাগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে আসা> একটু পরিকল্পনা> ছোট একটি সহসী পদক্ষেপ> অনেক বড় ইনোভেশন > জনকল্যাণ
জনসেবায় জেলা পশাসন!!!!
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস