ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গাইবান্ধার কামারজানীবাসী। হুমকির মুখে পড়েছে সরকারী, বেসরকারি স্থাপনাসহ ঐতিহ্যবাহী কামারজানী বন্দর।
বালুর বস্তা ফেলা হলেও ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী পদক্ষেপের অপেক্ষায় ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে কেবল হা-হুতাশ করছেন নদী পাড়ের মানুষেরা। অবশ্য ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
কয়েক দফা ভাঙ্গনে নি:স্ব জহুর আলী সবশেষ আশ্রয় নেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের গোঘাট গ্রামে। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র নদ তার পিছু ছাড়েনি।
২২ বিঘা সম্পত্তির পুরোটাই এখন ব্রহ্মপুত্রের পেটে। ছিন্নভিন্ন হয়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে ছেলে-মেয়েরা। ৮৪ বছর বয়সের এই বৃদ্ধ’র মতো গ্রামের আর সবার গল্প অনেকটা একই রকম।
ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে যাই যাই করছে কলমু এফএনসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ হুমকির মুখে পড়েছে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা।
ভাঙ্গন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালির বস্তা ফেলা শুরু করলেও তাতে সন্তুষ্ট নয় ভুক্তভোগীরা।
অবশ্য ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেন গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সেলিম।
গত পঞ্চাশ বছরে কামারজানি ইউনিয়নের তিন কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবী ভাঙ্গন ঠোকানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাদ্দকৃত অর্থের পরিকল্পনা অনুযায়ী সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হলে স্থায়ীভাবে যেমন ভাঙ্গন প্রতিরোধ হবে, তেমনি কমে আসবে বাস্তহারাদের সংখ্যা। এলাকার অসহায় নি:স্ব মানুষগুলোর মধ্যেও স্বস্তি ফিরে আসবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস